বন্যা মোকাবেলার ২৫টি পূর্ব প্রস্তুতি - বন্যার ক্ষতিকার প্রভাব কি কি
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। প্রতিবছর এই দেশে বন্যা সৃষ্টি হয়। আপনার হয়তো অনেকেই বন্যা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি ও বন্যাকালীন সময় করণীয় কি সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি। সমস্যা নেই আজকের আর্টিকেলে আমরা বন্যা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি ও বন্যাকালীন সময় করণীয় কি এবং এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে কি করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
আপনি যদি বন্যা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি ও বন্যাকালীন সময় করণীয় এবং বন্যার পরবর্তী সময়ে কি করনীয়সহ বন্যা সম্পর্কে যাবতীয় সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে নিজের আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
নদীমাতৃক বাংলাদেশ। পদ্মা,মেঘনা,ব্রহ্মপুত্র,যমুনাসহ ছোট-বড় অসংখ্য নদ নদী এ দেশকে ঘিরে রেখেছে। এসব নদনদী তাদের অকৃপণ দানে এদেশের মাটি ও মানুষকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে,তেমনি প্রকৃতির নিয়মে মাঝে মাঝে এরা মরন খেলায় মেতে উঠে । ভ্যায়াবাহ এই বন্যা ধ্বংস করে দেয় অনেক অঞ্চল এবং নষ্ট করে দেয় অনেক সম্পদ।
আমাদের দেশে প্রত্যেক বছরই কোনো না কোনো জায়গায় বন্যা হয়। যার কারনে ব্যাপক সম্পদ ও শস্যহানি হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বরণকালের সবচেয়ে ভয়ানক বন্যা হয় ১৯৮৮ সালে। তাছড়াও ১৯৭৪,১৯৭৭,১৯৮০,১৯৮৪,১৯৮৭ এই সাল গুলোতে অনেক বড় বড় বন্যা হয়েছিল। আমাদের দেশে নদী মাতৃক দেশ,তাই বেশিরভাগ জায়গায় বন্যা প্রবণ।
বন্যা থেকে বাচতে হলে আমাদের বন্যা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে হবে। বন্যা প্রতিরোধ সম্ভব নয়,তবে কিছু অতি সহজ উপায় ও কৌশল অবলম্বন করে বন্যাজনিত জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা যায়। এই ধরনের উপায় ও কৌশল সমূহই বই পুস্তকে লিপিবদ্ধ করা থাকে। এই উপায় ও কৌশলসমূহ অনুসরণের মাধ্যমে জনগণ বন্যার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই হ্রাস করতে পারবে।
বন্যা মোকাবেলার ২৫টি পূর্ব প্রস্তুতি
আপনি বন্যা প্রবণ এলাকায় বাস করলে প্রতিবছর বন্যার মৌসুম আসার পূর্বের সম্ভাব্য বন্যা প্রতিরোধের
জন্য নিম্নলিখিত প্রস্তুতির মূলক ব্যবস্থা গুলো গ্রহণ করুন।
- উঁচু জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করুন।
- নদীর তীরবর্তী এলাকায় বিড়ি বাঁধের বাইরে বাড়ি নির্মাণ করবেন না। সব সময় বাঁধের ভিতরে বাড়ি নির্মাণ করুন।
- নতুন জেগে ওঠা চড়ে বসতবাড়ি নির্মাণ করবেন না,বন্যা হলে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- আপনার বিয়ে বাড়ি নিচু হলে মাটি দিয়ে তা আরো উঁচু করুন,যাতে বন্যার পানি ভিটায় বা ঘরে উঠতে না পারে।
- আপনার ঘরের মেঝে স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেশি উঁচু করে নির্মাণ করুন,যাতে বন্যার পানি ঘরে না উঠে।
- গাছপালা আমাদের ফল দেয়,কাঠ দেয়,পরিবেশ দূষণ রোধ করে এবং বন্যাজনিত মাটির ক্ষয়রোধ করে। আপনার বাড়ির আশে পাশে কলাগাছ সহ অন্যান্য গাছপালা বেশি করে লাগান,যাতে বন্যার পানির তোড়ে আপনার ভিটে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
- আপনার ঘর গুলি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেশি উঁচু করে প্রস্তুত করুন,যাতে প্রয়োজনে ঘরের মধ্যে মাচান বেঁধে কিছুদিন বসবাস করা যায়।
- বন্যপ্রবণ এলাকায় ঘরের চারপাশ মাটি দিয়ে নির্মাণ না করে সম্ভব হলে ইট-সিমেন্ট দিয়ে পাকা করুন,যাতে ঘরের ভেতর ভেঙে না পড়ে।
- ঘরের চারপাশ পাকা করা সম্ভব না হলে মাটি দিয়ে প্রস্তুত করে ঘন ঘন বাঁশ অথবা শক্ত কাঠের ঘের দিয়ে রাখুন। এ ব্যবস্থা ঘরের চারপাশ ভেঙে পড়া রোধ করতে পারে।
- বন্যা প্রবণ এলাকায় শক্ত কাঠের খুঁটি দিয়ে ঘর নির্মাণ করুন,যাতে বন্যার পানিতে খুঁটির গোরা পচে না যেতে পারে।
- গড়ে ও বাতা দিয়ে ঘর নির্মাণ করুন। গড়েগুলি ইট-সিমেন্ট দিয়ে পাকা করুন অথবা শক্ত কাঠ দিয়ে নির্মাণ করুন যাতে সেগুলো পানিতে পচে না যায়।
- বাঁশের অথবা নরম কাঠের খুটি দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হলে মেঝের ওপর খুঁটিগুলি শক্ত বাতা দিয়ে যুক্ত করুন। তাহলে খুঁটির ঘোড়াগুলি পচে গেলেও সহজে ঘর পড়ে যাবে না।
- আপনাকে উঁচু জায়গায় পানির টিউবয়েল স্থাপন করতে হবে,এবং বন্যার পানি আসলে যেন উঁচু করা যায় সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- আপনার বাড়িতে বন্যার পানি ডুকলে আপনি মালপত্র কোথায় রাখবেন বা আপনি কোথায় আশ্রয় নিবেন,তা আপনাকে পূর্বেই চিন্তা করতে হবে।
- সংসারের জন্য গবাদিপশু অনেক মূল্যবান সম্পদ। তাই এদেরকে রক্ষা করার জন্য আপনি কি পদক্ষেপ নিবেন,তা বন্যা আসার আগেই আপনাকে চিন্তা করতে হবে।
- বন্যার মাসগুলোতে ঘরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্যশস্য না রাখাই শ্রেয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্যশস্য বিক্রি করে টাকা পয়সা ব্যাংকে জমা রাখুন।
- বন্যার মাসগুলোতে বাড়িতে মুড়ি,চিড়া,গুড় ইত্যাদি শুকনা খাবার কিছু পরিমাণে মজুদ রাখুন।
- বন্যার পূর্বে কেরোসিন অথবা স্থানান্তর করা যায় এমন মাটির চুলা প্রস্তুত রাখুন।
- বন্যার সময় শুকনো কাঠ/খড়ির অভাব দেখা দেয়। বন্যার সম্ভাব্য মাসগুলিতে কিছু শুকনো কাঠ মজুদ রাখুন।
- মেয়েদেরকে খাবার স্যালাইন (ও,আর,এস) প্রস্তুত শিক্ষা দিন এবং ঘরে সব সময় কিছু খাবার স্যালাইন মজুদ রাখুন অথবা স্যালাইন ঘরে প্রস্তুত করার জন্য উপকরণ (আখের গুড়,লবণ) মজুদ রাখুন। তিন আঙ্গুলের এক চিমটি লবণ এবং এক মুঠ আখের গুড় আধা কেজি বিশুদ্ধ পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে সহজে খাবার স্যালাইন প্রস্তুত করা যায়।
- বন্যা চলাকালীন বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায় না,তাই বন্যার পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাব্লেট/ফিটকিরি মজুদ করতে হবে।
- ছেলে-মেয়ে সবাইকে সাঁতার শিখান।
- নৌকা থাকলে ব্যবহারযোগ্য করে রাখুন।
- বন্যার সময় সাপের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কার্বলিক এসিড সংগ্রহ করে ছোট ছেলে-মেয়েদের নাগালের বাইরে নিরাপদ স্থানে রাখুন।
- আপনার এলাকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি/স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আপনারা যদি উপরোক্ত বন্যা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি গুলো অবলম্বন করেন,তাহলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে অনেকটা বাচতে পারবেন।
বন্যাকালীন সময় ১৭টি করণীয়
বন্যা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি এর পাশাপাশি আপনাদের বন্যাকালীন সময় করণীয় সম্পরকেও জানা প্রয়োজন। বন্যার সময় আপনি নিম্নলিখিত পরামর্শগুলো মনে রাখুন এবং অনুসরণের চেষ্টা করুন।
- বন্যার সময় ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
- বন্যায় যদি বাড়িঘর ডুবে যায়,নিকটস্থ কোনো উঁচু স্থানে/বাধে/আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করুন।
- নিজ বসতবাড়িতে অবস্থান সম্ভব না হলে,বাড়ির কাছাকাছি কোথাও অবস্থান করুন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঘরের চালের নিচে পাটাতনে রাখার ব্যবস্থা করুন।
- কোন মতেই দালাল/টাউটদের পরামর্শ শুনে নিজ গ্রাম ছেড়ে পরিবার-পরিজনসহ শহরে যাবেন না। নিজ গ্রামে থাকা কোনমতেই সম্ভব না হলে,পার্শ্ববর্তী গ্রাম সমূহে যা বন্যা কবলিত নয় আশ্রয় গ্রহণ করুন বা সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্থাপিত আশ্রয় কেন্দ্রের আশ্রয় গ্রহণ করুন।
- বন্যার সময় আপনার গবাদিপশু গরু,ছাগল,ভেড়া ইত্যাদি এমন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় পাঠিয়ে দিন যেই স্থান বন্যাকবলিত নয়। আর যদি সেই সুযোগ না থাকে তাহলে বিক্রি করে দিন এবং সেই টাকা বাংকে জমা রাখুন।
- চলাচলের জন্য নৌকা না থাকলে কলা গাছ দিয়ে ভেলা বানিয়ে চলাচল করুন।
- টিউবয়েলের পানি পান করুন। টিউবয়েলের পানি পাওয়া না গেলে পানি ফুটিয়ে পান করুন অথবা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট/ ফিটকিরি ব্যবহার করুন।
- বন্যার সময় বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। এগুলোর প্রতিষেধক টিকা/ ইঞ্জেকশন গ্রহণ করুন।
- আপনার এলাকায় কার্যত মেডিকেল টিমের অবস্থান সম্বন্ধে জেনে নিন এবং প্রয়োজনে তাদের সাহায্য নিন।
- আপনার ঘরে রক্ষিত কার্যলিক এসিডের বোতলের ছিপি খুলে রাখুন। এতে সাপ আপনার ঘরে ঢুকবে না।
- বন্যার সময় ছোট ছেলে মেয়ে এবং যারা সাঁতার জানে না তাদের দিকে সবসময় নজর রাখতে হবে।
- কাজের অভাব দেখা দিলে যে অঞ্চলে কাজ পাওয়া যায়,সেদিকে কাজের সন্ধান করুন।
- অভাব দেখা দিলে জমিজমা বিক্রি না করে আত্মীয়-স্বজন বা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করুন। কোনক্রমেই মহাজনদের দ্বারস্থ হবেন না।
- যারা ত্রান দিতে আসবে তাদেরকে সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
- ত্রাণ সামগ্রী যতটুকু পাবেন,ততটুকু দিয়েই অভাব মিটানোর চেষ্টা করবেন।
- বন্যার পরে বন্যা কবলিত জমিতে কি ফসল ফলানো যায় তার চিন্তা-ভাবনা করুন বা এ বিষয়ে কৃষি– কর্মীদের সাথে আলোচনা করুন।
- বন্যার ক্ষতি প্রতিরোধ করতে একটা সেচ্ছাসেবক দল গঠন করুন। এই সেচ্ছাসেবক দল দিয়ে সম্পদ রক্ষা করুন।
বন্যার পরবর্তী সময়ে ৭টি করণীয়
- বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নিজ বিটা বাড়িতে ফিরে যান,ঘরবাড়ি বসবাসযোগ্য করুন এবং বাড়িতে নানা ধরনের শাকসবজি চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
- নিজ জমি চাষাবাদ এর উদ্যোগ গ্রহণ করুন। কৃষি কর্মীদের সাথে আলোচনা ক্রমে স্বল্প সময়ে উৎপাদনযোগ্য ফসলের চাষ করুন।
- একায় ঋন না নিয়ে কয়েকজন মিলে ঋন নেওয়ার চেষ্টা করলে ভালো হবে।
- বন্যা শেষে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ যেমনঃ জব্র,সর্দি,কাশি,করেলা,ডায়রিয়া হতে পারে। সেই জন্য এসব রোগ থেকে বাচতে এসব রোগের ভ্যাকসিন নিন।
- সব সময় টিউবলের পানি পান করুন অথবা বন্যার পানি ফুটিয়ে বা পানিতে বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট/ ফিটকিরি দিয়ে শোধন করে পান করুন।
- ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণে সাহায্যের জন্য স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন।
- বাড়ি নতুন করে বানানোর জন্য কোন সরকারি সহযোগিতা (টিন) দিবে কিনা সে বিষয়ে ইউ,পি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এ বিষয়ে দলগত চেষ্টা করলে ভালো হবে।
বন্যার ক্ষতিকার প্রভাব কি কি
- বন্যার ফলে বন্যা জনিত এলাকার মানুষদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন-
- বন্যার ফলে সম্পত্তির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
- বন্যা কবলিত অঞ্চলের বাসিন্দাদের দীর্ঘমেয়াদি স্থান চুক্তি হয়।
- বন্যার কারণে বিভিন্ন রোগ যেমনঃ নিউমোনিয়া,জ্বর,সর্দি,কাশি এবং চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
- বন্যায় কবলিত অঞ্চলে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সমস্যা দেখা দেয়।
- বন্যার কারণে বন্যাকবলিত এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
- বন্যার ফলে বন্যা কবলিত এলাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বাণিজ্যিক সরবরাহ ব্যাহত হয়।
- বন্যাজনিত কারণে ভূমিধস এবং কাদাভাস সহ পরিবেশগত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।
বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য আমরা কি কি সাহায্য করতে পারি
বন্যায় কবরে তো মানুষদের কোন ধরনের অসুবিধা এবং অভাব দেখা দেয়। বন্যায় কবলিত মানুষদের আমরা নানাভাবে সাহায্য করতে পারি। নিচে বন্যায় কবলিত মানুষদের কি সাহায্য করতে পারি তা আলোচনা করা হলো।
- বন্যায় কবলিত মানুষদের আমরা খাবার দিয়ে সাহায্য করতে পারি।
- বন্যায় বিশুদ্ধ পানির সংকর দেখা দেয়,তাই আমরা বিশুদ্ধ পানি দিয়েও সাহায্য করতে পারি।
- বন্যায় কবলিত মানুষদের অভাব দেখা দেয়, আমরা তাদের কিছু আর্থিক সহযোগিতা করতে পারি।
- বন্যাজনিত কারণে খাদ্যশস্য অনেক সংকর দেখা দেয়, তাই আমরা চাল, ডাল, আটা, তেল এবং কিছু সবজি দিয়ে সাহায্য করতে পারি।
- শুকনো খাবার যেমন- খেজুর,মুড়ি,চিড়া,গুড় ইত্যাদিও সাহায্য করতে পারি।
- বন্যার ফলে পানি জনিত কারণে নানা রোগ হতে পারে,তাই আমরা কিছু পানি বাহিত রোগ যেমন- ডায়রিয়া,আমাশয়,কলেরা,জ্বর,সর্দি,কাশি ইত্যাদি রোগের ওষুধ দিয়ে সাহায্য করতে পারি।
বাঁধ কিভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে
বাদ হল এমন একটি প্রতিবন্ধক দেয়াল,যা পানির প্রবাহকে সামনে প্রবাহিত হওয়া থেকে বাধা দেয়। বাঁধ কৃত্রিম উপায় তৈরি করা হয়, যা পানি ধরে রাখার কাজ করে এবং এই ধরে রাখা পানি দিয়ে দুর্গতি এলাকায় ফেস কাজ করা হয়। তাছাড়াও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে বাঁধ তৈরি করা হয় তা একটি অঞ্চলকে বা এলাকাকে বন্যায় প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
বন্যার জন্য মানুষ কিভাবে দায়ী - কিভাবে মানুষ বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়
বর্তমানে মানুষ পরিবেশের ক্ষতি করে এমন নানা কার্যকলাপাপ করে থাকে যেমন- বন উজাড়,বালি খনিও দুর্বল আবর্জনার নিষ্পত্তি ইত্যাদি কারণে বন্যা ঝুঁকি বাড়ে। যখন গাছপালা কাটা হয় ও পৃষ্ঠের রান-অফ বৃদ্ধি পায়। গাছপালা কাটার কারণে বৃষ্টির জল সরাসরি নালা-নদীতে পৌঁছায় যার কারণে বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
লেখকের শেষ কথা
বাংলাদেশের প্রতিবছরই বন্যা হয়। যার ফলে অনেক মানুষ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আজকের আর্টিকেলে বন্যা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি,বন্যাকালীন সময় করণীয় ও বন্যার পরবর্তী সময়ে কি করণীয় এবং বন্যার ক্ষতিকর প্রভাব কি কি সহ বন্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা বন্যা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি ও বন্যাকালীন সময় করণীয় এবং বন্যার পরবর্তী সময় কি করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url