সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি - সদকায়ে জারিয়ার ফজিলত

সম্মানিত দ্বীনি ভাইয়েরা আপনারা হয়তো সদকায়ে জারিয়া কি এবং সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি সেগুলো সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই। সমস্যা নেই আজকের আর্টিকেলে আমরা সদকায়ে জারিয়া কি এবং সদকায়ে জারিয়ার কাজ গুলো কি কি ও সদকায়ে জারিয়ার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য আলোচনা করব।
সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি
আপনি যদি সদকায়ে জারিয়া কি ও সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি এবং সদকায়ে জারিয়ার ফজিলত সম্পর্কে না জানেন,তাহলে নিচের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সদকায়ে জারিয়া কি

সদকা শব্দের অর্থ হলো দান করা এবং জারিয়া শব্দের অর্থ হলো প্রবাহমান। সদকায়ে জারিয়া হলো আরবি শব্দ। সদকায়ে জারিয়া হলো এমন ধরনের দান যার সওয়াব কখনো শেষ হবে না এবং এই সওয়াব কিয়ামত পর্যন্ত চালু থাকবে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি সদকা করবে সেই ব্যক্তি পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন পর্যন্তকবরে শুয়েও ও সওয়াব পেতে থাকবে। সেজন্য সকল মুসলমানদের উচিত বেশি বেশি সদকা করা। কিন্তু কাউকে দেখানোর উদ্দেশ্যে দান করা যাবে না,শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য দান করতে হবে। বিভিন্ন আলেমগণ সদকায়ে জারিয়াকে ওয়াকফ বলছেন।

আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত একটি হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কোন মানুষ যখন মারা যায় তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমল চালু থাকে,তার মধ্যে সদকায়ে জারিয়া উল্লেখযোগ্য। কোন মানুষকে এমন জ্ঞান দেওয়া যা থেকে ওই মানুষ উপকৃত হয় অথবা নেককার সন্তান তৈরি করা যে মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করবে।

সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি

সদকায়ে জারিয়া এমন একটি আমল যে আমলের সওয়াব মৃত্যুর পরও বান্দা পেতে থাকবে। ইসলামে সদকায়ে জারিয়া একটি মূল্যবান আমল। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে সদকায়ে জারিয়া করতে পারি। আসুন সদকায়ে জারিয়া হতে পারে এমন কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।
  • কোন ব্যক্তিকে রক্ত দান করে
  • মসজিদ তৈরি বা মসজিদের জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে দান করা।
  • যে জায়গায় খাবার পানির ব্যবস্থা নেই সেই জায়গাই একটি টিউবওয়েল বসিয়ে দেওয়া বা বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করে দেয়া।
  • এতিম অর্থাৎ যাদের বাবা-মা নেই তাদের লালন পালনের দায়িত্ব পালন করা।
  • কাউকে কোরআন শেখানো বা কোরআন শেখার ব্যবস্থা করে দেয়া।
  • অসহায় বা গরীব দুঃখী মানুষ যারা অসুস্থ কিন্তু চিকিৎসা করার টাকা নেই,সেই সব মানুষের স্যার ব্যবস্থা করে দেওয়া বা তাদের বিনা টাকায় সেবার জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা।
  • গোরস্থানের জন্য জমি দান করা অথবা কবরস্থানের জমি কিনতে আর্থিকভাবে অবদান রাখা।
  • মৃত ব্যক্তিদের কাফন ও দাফনের জন্য সহায়তা করা
  • বিনামূল্যে সেবা দানের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করে দেওয়া।
  • মুসলমানদের উপকার বা কল্যাণ হবে এমন ইসলামিক বই-পুস্তক, বা হাদিসের বই ক্রয় করে বিতরণ করা।
  • মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ যারা অত্যাচারিত হয় তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং নেয় বিচারের ভূমিকা রাখা।
  • বিভিন্ন মাইক বা পোস্টারিং করার মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করা।
  • শীতকালে শীতর্থ মানুষদের গরম কাপড় অথবা কম্বল দান করা।

বৃক্ষরোপণ কি সদকায়ে জারিয়া

বৃক্ষরোপণ বা গাছ লাগানো সদকায়ে জারিয়ার আমল। আপনি যদি কোন গাছ লাগান বা বৃক্ষরোপন করেন যে গাছ থেকে মানুষ ও পশু পাখি এবং পরিবেশের উপকার হয়। তাহলে এই গাছ লাগানো হতে পারে পরকালের জন্য আপনার সওয়াবের একটি আমল। কোন ব্যক্তি যদি পশুপাখি বা মানুষের উপকারের উদ্দেশ্যে কোন গাছ লাগায় বা রোপন করে এবং এর সাহায্যে নেকির আশা করে, তাহলে তার জন্য এটি একটি উত্তম সদকায়ে জারিয়া। যার নেকির ধারা ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পরও চালু থাকবে।
বৃক্ষরোপণ কি সদকায়ে জারিয়া
এই বিষয়ে হাদিসে এসেছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি একটি গাছ লাগান বা রোপন করে এবং সেই গাছের ছায়া অথবা ফলমূল মানুষ কিংবা পশুপাখি ভোগ করে,তবে ওই ব্যক্তির জন্য তা সদকাস্বরূপ। কারণ জীবিত অবস্থায় দুনিয়াতে করে যাওয়া কাজ যদি মৃত্যুর পরও মানুষ বা পশু পাখির উপকারে আসে,তাহলে সেটি হল সদকায়ে জারিয়া আমল।

সদকায়ে জারিয়া কাদের দেওয়া যাবে

আপনাদের মাঝে অনেকেরই প্রশ্ন সদকায়ে জারিয়া কাদের দিবেন। সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি সেই সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি বিভিন্ন ভাবে সদকায়ে জারিয়া করতে পারবেন। সদকায়ে জারিয়া হল প্রবাহমান এবং স্থায়ী দান। এটা এমন দান যা থেকে মানুষ দীর্ঘস্থায়ীভাবে উপকৃত হয়। যেমনঃ গরিব অসহায় দ্বীনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য তার বিভিন্ন বই-পুস্তক ক্রয় করে দেওয়া বা ব্যবস্থা করে দেয়া। মানুষের চলাফেরা সুবিধার্থে কোন রাস্তা বা ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ করা। ইসলামি লাইব্রেরী তৈরি করা এবং তাতে বিভিন্ন ইসলামিক বই কিনে দেওয়া।

গরিব বা অসহায় মানুষদের যাদের বাড়ি বা থাকার বাসস্থান নেই তাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া। নিজে কোরআন শিক্ষা দান করা বা কোরআন শেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া।মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নে বা নির্মাণে আর্থিকভাবে নিজের অবদান রাখা। গরিব অসহায় বা সর্বসাধারণের জন্য যে জায়গায় বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা নেই সেই জায়গায় বিশুদ্ধ পানির জন্য একটি টিউবয়েল স্থাপন করা। উপোরক্ত এই কাজগুলো সদকায়ে জারিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সদকায়ে জারিয়া আল কাউসার

সদকায়ে জারিয়া সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। তাছাড়া আরও বিভিন্ন ভাবে সদকায়ে জারিয়া আদায় করা যায়। সদকায়ে জারিয়া আল কাউসার তার মধ্যে একটি। কাউসার শব্দের আরবি অর্থ অফুরন্ত কল্যাণ। মহান আল্লাহ পাক সদকায়ে জারিয়া আমল করার মাধ্যমে তার বান্দাকে অফুরন্ত কল্যাণ দান করে থাকেন।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সাগরের পানিতে পতিত ব্যক্তি যেমন অসহায়,কবরে থাকে একজন মৃত ব্যক্তি ঠিক তেমনি অসহায়। যে অল্প খরকুটো ধরে হলেও বাঁচার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এরকম অসহায়ত্বের মাঝে অন্ধকার কবরে শুধুমাত্র নেক আমল মানুষের সঙ্গী। কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর সে নেক আমল করতে না পারলেও প্রবাহমান থাকবে সদকায়ে জারিয়া আল কাউসার। তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের সকলের সদকায়ে জারিয়া ও সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি সেই সম্পর্কে জানা উচিত এবং বেশি বেশি সদকায়ে জারিয়া আমল করা উচিত।

সদকায়ে জারিয়ার ফজিলত

সাদকায়ে জারিয়া হল প্রবাহমান এবং স্থায়ী দান। এর সওয়াব কখনো শেষ হবে না মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত চালু থাকবে। এই পৃথিবীর মালিক মহান আল্লাহ পাক ধনী এবং বিত্তশালী মানুষের উপর যেমন ওসুর এবং যাকাত ফরজ করেছেন। ঠিক তেমনি সদকার ব্যাপারেও তাগিদ দিয়েছেন। ইসলাম ধর্মে আল্লাহ পাক যাকাত এবং ওসুর দেয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছেন কিন্তু সরকার ব্যাপারে কোন পরিমাণ নির্ধারণ করে নি। 

বেশি বেশি সদকা করার মাধ্যমে মুসলমান সমাজে মজবুত অর্থনীতি গড়ে তোলা যেতে পারে। সদকার ব্যাপারে ধনী-গরীবের কোন শর্ত নেই। সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি সেই সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। যে কোনো মানুষ সদকা করতে পারবেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানকে সদকা জারিয়ার সাথে নিজেকে যুক্ত রাখা উচিত। সদকায়ে জারিয়ার ফলে মৃত্যুর পরবর্তী জীবন শান্তিময় হবে এমনটা আশা করতে পারেন।

বিভিন্ন ইসলামিক হাদিস শরিফে সদকায়ে জারিয়াকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। একটি হাদিসে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন কোন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমলের সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ৩টি আমল চালু থাকে।
  • সদকায়ে জারিয়াহ
  • উপকারী জ্ঞান
  • নেক্কার সন্তান যে দোয়া করবে
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন,আমরা তার গোলাম। তিনি পৃথিবীকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন আমাদের কল্যাণার্থেই। প্রতিটি নিয়মই তিনি তৈরি করেছেন। তিনি জন্ম এবং মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। যখন যার মৃত্যুর সময় চলে আসবে তখন পরস্পর সবাইকে এই পৃথিবী ছেড়ে অন্ধকার কবরে চলে যেতে হবে। এই বিষয়ে ধনী গরিব, বড় ছোট, রাজা বাদশা কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।

পৃথিবীতে নির্দিষ্ট মেয়াদে বিভিন্ন পেশায় দায়িত্বরত একজন চাকরিজীবী যখন অবসরে যান তখন ওই ব্যক্তির জীবনের পরবর্তী সময় সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য সরকার বা কোম্পানি পেনশনের ব্যবস্থা রাখে। এ ব্যবস্থায় ওই ব্যক্তি বৃদ্ধ অবস্থাতেও ভালোভাবে দিন পার করতে পারে। তবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর চেয়েও লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গুণ বেশি দয়ালু তার বান্দাদের প্রতি। যা আমরা কেউ উপলব্ধি করতে পারবো না।
সদকায়ে জারিয়ার ফজিলত
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের চলাফেরা,ওঠা-বসা বিভিন্ন কাজে অনেক ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে। এই ভুল ত্রুটির জন্য তওবা না করলে মৃত্যুর পর নেকির পাল্লা হালকা হয়ে ওই ব্যক্তি বিপদে পড়তে পারে। সেই জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে দুরব্যবস্থা থেকে বাঁচানোর জন্য মৃত্যুর পরও সওয়াব অর্জনের একটি ব্যবস্থা করে রেখেছেন। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে,কোন ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে তিনটি কাজের যেকোনো একটি করে গেলে ওই ব্যক্তি কবরে শুয়ে শুয়েও সওয়াব পেতেই থাকবে।

প্রথমত,সদকায়ে জারিয়াঃ সদকায়ে জারিয়া হল মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং তার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করা বা মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণে আর্থিক ভূমিকা রাখা, গাছ লাগানো, ইসলামী লাইব্রেরী তৈরি, রাস্তাঘাট করা, হাসপাতাল নির্মাণ করা, এতিমদের দায়িত্ব নেওয়া, ইসলাম প্রচার করা ইত্যাদি হলো সদকায়ে জারিয়া। এই কাজগুলো যে ব্যক্তি করবে সেই ব্যক্তি পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় নেকী তো পাবেই যতদিন মানুষ ওই মসজিদে নামাজ পড়বে বা ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করবে, ওই গাছের ছায়ার নিচে বসবে বা ফল খাবে অর্থাৎ মৃত্যুর পরও ওই ব্যক্তি কবরে শুয়ে শুয়ে ও নেকি পেতে থাকবে।

দ্বিতীয়ত,উপকারী জ্ঞানঃ যেই জ্ঞান অর্জন করার ফলে জ্ঞানী ব্যক্তি মৃত্যুর আগে ও পরে দুই জীবনেই সফলতাপাবে এবং অন্য ব্যক্তিকেও সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন জ্ঞান লাভ। এই ধরনের জ্ঞান কোরআন,হাদিস,তাফসীর গ্রন্থ পড়া ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন তোমাদের মাঝে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ যে ব্যক্তি নিজে কোরআন শিখে এবং অপরকে কোরআন শিক্ষা দান করে।

তৃতীয়ত,নেক সন্তান যে দোয়া করেঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন কোন পিতা মাতা তার সন্তানের জন্য চরিত্র গঠন এবং স্বশিক্ষা ছাড়া উত্তম কোন সম্পদ দুনিয়াতে রেখে যেতে পারে না।পিতা-মাতা যদি লাখ লাখ টাকা রেখে যাই,কিন্তু সন্তান নেক্কার না হয় তাহলে পিতা মাতা বা সন্তানের বিন্দুমাত্র কোন লাভ হবে না।বরং এই সম্পদ যদি সন্তান অসৎ কাজে ব্যয় করে তাহলে সে নিজেও ধ্বংস হবে এবং বাবা-মাকেও কবর জগতে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করবে।

 তাই সন্তানকে সুশিক্ষা এবং চরিত্রবান করতে হবে। নেকার সন্তান যদি আপনার মৃত্যুর পর কোন ভালো কাজ করে বা দোয়া করে তাহলে সেই নেকি আপনি কবরে শুয়েও পাবেন। তাছাড়াও সুশিক্ষা এবং উত্তম চরিত্রের অধিকারী মানুষেরা সমাজে মাথা উঁচু করে চলাচল করতে পারে।

তাই প্রত্যেক মানুষেরই উচিত দুনিয়াতে বেঁচে থাকা অবস্থায় পরকালের জন্য বেশি বেশি সদকা করা এবং পুজি সংগ্রহ করা। দুনিয়াতে বিভিন্ন অসৎ কাজে নিজেকে জড়িত না রেখে ধন সম্পদের লোভ লালসা ছেড়ে পরকালের সাফল্যের জন্য প্রতিদিন কিছু সদকা করা। মানুষকে ভালো উপদেশ দেওয়া এবং সন্তানকে সুশিক্ষা এবং চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলা পরকালের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক এর শেষ কথা

সদকায়ে জারিয়া ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এই সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব স্থায়ী বা প্রবাহমান। আজকের আর্টিকেলে সদকায়ে জারিয়া কি ও সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি এবং সদকায়ে জারিয়ার ফজিলত সম্পর্কে কোরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশাকরি আপনারা সকলেই সদকায়ে জারিয়া কি,সদকায়ে জারিয়ার কাজগুলো কি কি,সদকায়ে জারিয়ার ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

সম্মানিত পাঠকগণ ইসলামিক সহ আরো বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।কোন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url