হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় - হার্ট ব্লক দূর করার খাবার

বর্তমান সময়ে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস বা অনেক কারণে অনেক মানুষের হার্ট ব্লক হতে পারে। যদি আপনারা দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং কিছু নিয়ম কারণ মেনে চলেন তাহলে হার্ট ব্লক রোগ অনেকটা কমে যাবে। আপনারা হয়তো জানেন না হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় ও হার্ট ব্লক দূর করার খাবার এবং হার্ট ব্লক এ যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলে আমরা হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় ও হার্ট ব্লক দূর করার খাবার এবং হার্ট ব্লক দূর করার ব্যায়াম সহ হার্ট ব্লকের যাবতীয় সঠিক তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করব।
হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায়
আপনারা যদি হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় ও হার্ট ব্লক দূর করার খাবার এবং হার্ট ব্লক দূর করার ব্যায়াম সহ হাট ব্লক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিজের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার ঘরোয়া উপায়

বর্তমানে মানুষের একটু বয়স হলেই হার্টের সমস্যা দেখা যায়। তবে এখন হার্টের সমস্যা ছোটদেরও হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি এই সমস্যা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে আমরা হার্টে ব্লক এ রোগের সাথে অনেক পরিচিত। কোন রোগীর হার্টে ব্লক ধরা পড়লেই ডাক্তারগণ রোগীকে অপারেশন করতে বলেন। তবে অপারেশন ছাড়াও হাটে ব্লক এ রোগ থেকে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতেও মুক্তি পেতে পারেন। নিচে পদ্ধতিটি আলোচনা করা হল।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
  • মধু- ৩ কাপ
  • রসুনের রস- ১ কাপ
  • আপেল সাইডার ভিনেগার- ১ কাপ
  • লেবুর রস- ১ কাপ
  • আদার রস- ১ কাপ
তৈরি করন পদ্ধতিঃ প্রথমে ১ কাপ রসুনের রস, ১ কাপ আদার রস, ১ কাপ লেবুর রস এবং ১ কাপ আপেল সাইডার ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর অল্প জ্বালে ৩০ মিনিট মিশ্রণটি ফুটোতে হবে। যেন মিশ্রণটির পরিমাণ ৩ কাপ থেকে ৪ কাপ মতো হয়। এরপর মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিতে হবে। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে যাবার পর এতে তিন কাপ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি নিয়মিত সকালে খাবার ৩০ মিনিট আগে এক চামচ করে খেতে হবে। এতে কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন হার্ট ব্লক খুলে যাবে।

হার্ট ব্লক দূর করার খাবার

হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় হতে পারে প্রতিদিন রুটিন অনু্যায়ী খাবার। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চা না করার কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। হাটে কোলেস্টেরল জমলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হার্টে ভ্যাট জমা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এ অবস্থায় আপনার খাদ্য তালিকায় নিচের খাবারগুলো রাখলে হার্ট ব্লকের মতো সমস্যা দূরে রাখা যাবে।

লাউঃ লাউ শরীরের ওজন বৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচায় এবং হার্ট ব্লকেজের মত সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে। লাউ গরম পানিতে ভোগ করে তাতে হলুদ ও ধনেপাতা মিশিয়ে ৭ দিনে ২ দিন খেলে হার্ট ভালো থাকে।

রসুনঃ রসুন শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। প্রতিদিন রসুন খেলে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা একবারে কম থাকে। প্রতিদিন পানির সাথে ১/২ কুয়া রসুন খাওয়া খুবই উপকারী। রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা হার্ড ব্লকেজের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে।

লেবু পানিঃ প্রতিদিন লেবু পানি পান করলে শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়। লেবুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান হার্ট ব্লকেজের সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে।

বেরি জাতীয় ফলঃ বেরি জাতীয় ফল যেমন ব্ল্যাকবেরি,স্ট্রবেরি,ব্লুবেরি ইত্যাদি বেশি খাবেন। এসব ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফলগুলো খেলে হার্টের প্রদাহ দূর হয় এবং হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

শাকসবজিঃ বেশি বেশি শাক-সবজি খাবেন। এর পরিবর্তে ভাত বা রুটি খাওয়ার পরিমাণ কমাবেন। ভাত এবং রুটি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে বেশি শাক-সবজি খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে হার্ট ভালো থাকে।

মাছের তেলঃ মাছের তেল অনেক উন্নত মানের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।কিন্তু ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ সামুদ্রিক মাছের তেলে অনেক বেশি হয়। । প্রতিদিন মাছের তেল খাওয়া শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্ষা করে।

হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায়

আপনারা হয়তো হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। সাধারণত চলাফেরার অনিয়ম বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অথবা বংশগতভাবে হার্ট ব্লক হতে পারে। হার্ট ব্লক হতে রক্ষা পেতে হলে আপনাকে খুব নিয়ম কানুন পালন করতে হবে। আসুন সেই নিয়ম-কানুন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

পরিমাণ মতো খাবারঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পরিমাণ মতো খাবার খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় আপনাকে বেশি টাটকা সবজি রাখতে হবে। টমেটো,শসা সালাদ বেশি খেতে হবে। এছাড়াও পরিমাণ মতো মাছ খেতে হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে মাংস ও লবণ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া যাবেনা। পরিমাণ মতো খাবার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না।

নিয়মিত ব্যায়ামঃ শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে ব্যায়াম করার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন কম করে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট সকালে হাঁটতে পারেন। তাছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো আপনি করতে পারেন। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করলে রক্তনালীতে রক্ত চলাচল ভালো হয়। ফলে রক্তনালীতে চর্বি জমতে পারে না,যা হার্ট ব্লক থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

ধূমপান পরিহার করুনঃ ধূমপান করলে হার্ট ব্লকের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। তাছাড়াও ধূমপানের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী ধূমপান করার কারণে প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ১৯ লক্ষ লোক হৃদরোগে মারা যায়। তাছাড়াও বাংলাদেশে ধূমপানের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর প্রায় ২ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

অ্যালকোহল পানীয় পরিহারঃ অ্যালকোহল পান করার ফলে ঠিকমতো ঘুম হয় না। রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে অ্যালকোহল পান করার কারণে হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই অ্যালকোহল কে না বলুন।

মানসিক চাপ কমানোঃ বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হার্ট ব্লক হয়ে থাকে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকার কারণে ঘুম হয় না। চিন্তার ফলে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন ঘটে এবং জীবনে চলার সকল ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। তাই সব সময় নিজেকে মানসিক চাপ হতে রক্ষা করতে হবে।
হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায়
রক্তের শর্করা কমানোঃ যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন তাদের সব সময় রক্তে শর্করা কমিয়ে রাখতে হবে। কারন রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম এবং প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ রক্তচাপ বেশি হলে হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। তাই রক্তচাপ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সাধারণত নিয়ম মেনে খাবার খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

মাঝে মাঝে পরীক্ষা করাঃ মাঝে মাঝে হার্টের বিভিন্ন অবস্থা জানতে পরীক্ষা করতে পারেন। একই সাথে রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা সহ শরীরের রক্তনালীর পরীক্ষাগুলো করতে পারেন। কারণ যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিকার করার মাধ্যমে বড় রোগ হতে রক্ষা পাওয়া যাবে।

বংশীয় কারণঃ বিভিন্ন সময় বংশীয় কারণে হার্ট ব্লক হয়ে থাকে।খেয়াল রাখতে হবে এটা পিতা অথবা মাতার বংশের মধ্যে কারো হার্ট ব্লকের সমস্যা ছিল কিনা। যদি পিতা বা মাতার বংশের কারো হার্ট ব্লকের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিজেকে অনেক সচেতন হতে হবে। খাদ্যাভাস ও চলাফেরার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং মাঝে মাঝে হার্ট পরীক্ষা করতে হবে।

শর্করা জাতীয় খাবার কমানোঃ মিষ্টি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। তাছাড়াও ভাত, রুটি, আলু ইত্যাদি শর্করা জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। এর পরিবর্তে বেশি বেশি ফলমূল এবং শাকসবজি খেতে হবে।

অতিরিক্ত স্থুলতা কমানোঃ বেশি স্থুলতা হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য ডায়েটের মাধ্যমে হলেও শরীরের অতিরিক্ত স্থুলতা কমাতে হবে।

চর্বিযুক্ত খাবার পরিহারঃ চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে এবং বয়স ৩০ বছর পার হলেই লাল মাংস খাওয়া কমাতে হবে। তাছাড়াও বিভিন্ন রকমের তেলযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।

হার্ট ব্লকের লক্ষণ কী কী

অনেক মানুষের যেকোনো সময় হার্ট ব্লক হতে পারে। আপনি কি করে বুঝবেন যে একজন মানুষের হার্ট ব্লক হয়েছে। আসুন জেনে নেই হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলি সম্পর্…
  • বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি ভাব
  • নিঃশ্বাসে সমস্যা
  • ক্লান্তি
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
  • মাথা ঘোরা
  • বমি বমি ভাব
  • বদহজম
  • অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
  • ঘাম,বিশেষ করে ঠান্ডা ঘাম
  • ঘাড়,বাহু,মেরুদন্ড বা পিঠে ব্যথা বা অস্বস্তি
  • উদ্বেগ বা অসুস্থির কারণে ঘুমাতে সমস্যা

হার্ট ব্লক নির্ণয় করার টেস্ট বা পরীক্ষা

হার্ট ব্লক নির্ণয় করতে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়। আসুন জেনে নেই সেই পরীক্ষাগুলো সম্পর্কে।

ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম(ECG/EKG)ঃ ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম টেস্ট বা পরীক্ষা তে হার্টের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরিমাপ এবং অপর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহের লক্ষণ সনাক্ত করা হয়ে থাকে।

ইকোকার্ডিওগ্রামঃ এই পরীক্ষায় আল্ট্রা সাউন্ড ব্যবহার করে হৃদপিন্ডের ছবি তোলা হয়। হার্টের ভাল্বের সমস্যা, কার্যকারিতা ও রক্ত প্রবাহের অস্বাভাবিকতা মূল্যায়ন করা হয়।

স্ট্রেস টেস্ট (ইসিজি ব্যায়াম)ঃ এই টেস্টে শারীরিক পরিশ্রমে হার্টের প্রতিক্রিয়া পরিমাপ করা হয়। অবরোধ সনাক্ত করতে সহায়তা করে যা বিশ্রাম অবস্থায় স্পষ্ট নাও হতে পারে।

করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফিঃ এই পরীক্ষায় করোনারি ধমনীতে কনট্রাস্ট ডাই ইনজেকশন করা হয়। এক্স-রেছবি তোলে, ব্লকেজ এবং তাদের তীব্রতা প্রকাশ করে।

হার্ট ব্লক দূর করার ব্যায়াম

দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম হল হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার একটি অন্যতম উপায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। হার্ট ব্লক দূর করার জন্য যে সকল ব্যায়াম করা প্রয়োজন সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

সাঁতার কাটাঃ সাঁতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যায়াম। প্রতিদিন সাঁতার কাটলে হাটে ব্লক হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। সাঁতার কাটার সময় শরীরের প্রতিটা অঙ্গ কাজ করে। যার ফলে সাঁতার হলো একটি উত্তম ব্যায়াম। সাঁতার কাটলে অস্থি ও মাংসপেশী অনেক উন্নত হয় এবং ব্লাড প্রেসার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। যা হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দেয়।

আরোবিকঃ এই ব্যায়াম হল এমন একটি ব্যায়াম যে ব্যায়াম করার মাধ্যমে অনেক তাড়াতাড়ি গা ঘামে। এই ব্যায়াম করার ফলে হার্টে ব্লক হওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের মাংসপেশি মজবুত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

দড়ি লাফঃ প্রচুর ক্যালরি ঝরানো যায় দড়ি লাফ ব্যায়ামের মাধ্যমে। যার ফলে শরীরের স্থুলতা অনেকটা কমে যায় ও শরীরের রক্ত চলাচল বাড়ায়। যার কারণে হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা কমে যায়।

জগিং লাফঃ জগিং লাভ ব্যায়ামের মাধ্যমে অনেক তাড়াতাড়ি শরীর ঘামে। এই ব্যায়াম শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং হার্ট ভালো রাখে।
সাইকেল চালানোঃ প্রতিদিন সাইকেল চালালে হার্ট ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে দুই হাত ও পা কার্যক্রম থাকে যার ফলে হাত ও পায়ের মাংসপেশী মজবুত হয়।
হার্ট ব্লক দূর করার ব্যায়াম
ইন্টারভ্যল ফিটনেসঃ ইন্টাভ্যল ফিটনেস ব্যায়ামের মাধ্যমে কার্ডিও ভাস্কুলার প্রচুর শক্তিশালী হয়। শুরুতে এই ব্যায়াম এক থেকে দুই মিনিট করতে হয়। পরে আস্তে আস্তে ব্যায়ামের সময় বৃদ্ধি করতে হবে। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।

খেলাধুলাঃ ক্রিকেট,ফুটবল,ব্যাডমিন্টন,ভলিবল ইত্যাদি খেলার মাধ্যমে খুব ভালো ব্যায়াম হয়। এই ব্যায়ামগুলোর মাধ্যমে হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা দূর হয়। তাছাড়াও খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ভালো থাকে। খেলাধুলা করলে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে এবং রক্তের শর্করা পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে, যার ফলে হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

শক্তি ব্যায়ামঃ এই ব্যায়ামের সাহায্যে হাত ও পা দ্বারা সমস্ত শরীরের ওজন ধরে রাখতে হবে। প্রথমে মাটিতে উপুর হয়ে শুতে হবে। তারপর দুই হাত এবং দুই পা এর ওপর ভর দিয়ে সম্পূর্ণ শরীর মাটি থেকে উপরে উঠিয়ে রাখতে হবে। এইভাবে ৩ থেকে ৪ বার করা ভালো।

যোগ ব্যায়ামঃ যোগ ব্যায়াম সাধারণত স্বাদ অথবা রুমের ভিতরে করা যায়। যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এই ব্যায়ামের ফলে মানসিক দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে যায়,যার কারণে হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।

হার্ট ব্লক অপারেশন খরচ

বর্তমানে বাংলাদেশে বুক না কেটে হার্টের সার্জারি বা মিনিমাল ইনভেসিভ হাটে সার্জারি সফলভাবে করা হয়। একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানে ডঃ মোঃ সাইফুল সাজ্জাদ বলেন বর্তমানে বাংলাদেশে এই সার্জারির জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক এর মধ্যে আমি একটি হার্ট সার্জারি করেছি। আমি যদি এই সার্জারিকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলনা করি তাহলে বলা যায় এটি খুবই অল্প খরচ। যে সার্জারি করতে আপনাকে একটি ইউরোপিয়ান সেন্টারে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার ইউএস ডলার খরচ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল বাংলাদেশ ডায়াবেটিস এসোসিয়েশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। চিকিৎসা প্রদানে যেখানে কোন অর্থ লাভ হয় না। তিনি আরো বলেন এই প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করার জন্য তৈরি করা হয়নি মানুষের সেবা এবং উপকারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু একথা অস্বীকার করা যাবে না যে মিনিমাল হার্ট সার্জারিতে কিছু খরচ বেশি হয়।

লেখকের শেষ কথা 

বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষেরই হার্টের সমস্যার কথা শোনা যায়। কারণ বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষেরই খাদ্যাভাস অস্বাস্থ্যকর। আমরা চাইলে হার্টের সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে পারি। হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় ও হার্ট ব্লক দূর করার খাবার এবং হার্ট ব্লক দূর করার ব্যায়ামসহ হার্ট ব্লক সম্পর্কে যাবতীয় বিস্তারিত তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি হার্ট ব্লক সকল তথ্য আপনারা সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আপনারা হার্ট ব্লক সম্পর্কে কোন তথ্য বুঝতে না পেরে থাকেন বা আরও তথ্য জানতে চান বা অন্য কোন বিষয়ে জানতে চান তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। সম্মানিত পাঠক এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url