বেল খাওয়ার ১১টি উপকারিতা
বেল একটি পুষ্টিকর এবং উপকারী ফল।পাকা বেল যেমন উপকারী তেমনি কাঁচা বেলও সমান উপকারী। এই বেলের উপকারিতা অনেক। তবে এই বেল থেকে উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাদের বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে হবে। আপনারা হয়তো বেল খাওয়ার উপকারিতা এবং বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি। সমস্যা নেই আজকের আর্টিকেলে আমরা বেল খাওয়ার উপকারিতা এবং বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি বেল খাওয়ার উপকারিতা ও বের হওয়ার সঠিক সময় এবং বেল সম্পর্কে যাবতীয় সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম
বেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কিন্তু বেল থেকে উপকারিতা পেতে হলে আপনাকে বেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। কাঁচা বেল খাওয়ার একটি সঠিক নিয়ম হলো,কাঁচা বেলকে আপনারা গরম পানিতে সিদ্ধ করে নিয়ে তারপর শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। শরবত বানানোর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাত্রে ফুটন্ত পানির মধ্যে একটি কাঁচা বেল দিতে হবে। বেলটি এমন হতে হবে যেন সেটি কিছুদিন গেলে পাকার উপযুক্ত হয়ে যেত। কাঁচা বেলটি সিদ্ধ হয়ে গেলে আপনারা খেয়াল করতে পারবেন বেলটি থেকে প্রায় পাকার মত একটি ফ্লেভার গন্ধ বের হচ্ছে।
এরপর সিদ্ধ করা বেলটি একটি পাত্রে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে শরবত তৈরি করতে পারেন। আপনি যদি শরবত ঘন খেতে চান তাহলে অল্প পানি দিবেন বা যদি পাতলা খেতে চান তাহলে বেশি পানি দিবেন।তারপর পানি ও বেলকে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে মিক্স করে নিতে হবে। তারপর আপনারা চাইলে ব্লেন্ড করা বেলের শরবতকে ছাকনি দিয়েছে কে খেতে পারেন কারণ এতে বেলের দানা ও আশ থাকে।
আপনারা অনেকেই জানেন যে বেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। আপনারা যে শুধু পাকা বেল খাবেন এমনটা নয় কাঁচা বেলেরও পাকা বেলের মত প্রায় সমান পুষ্টিগুণ থাকে। তাই বলতে চাই কাঁচা বেল যদি আপনাদের হাতের কাছে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি সিদ্ধ করে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।
পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম
বেল অনেক পুষ্টিকর এবং উপকারী একটি ফল। আপনারা পাকা বিল কে দুই ভাবে খেতে পারেন। পাকা বেলের শাঁস আপনারা এমনি মুখেই খেতে পারেন আবার পাকা বেলের শাঁস, অল্প চিনি এবং পানি মিক্স করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন। বেল খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। বেলের জুস হজমের সাহায্য করে।
বেল খাওয়ার সঠিক সময়
আমার মতে বেল খাওয়ার সঠিক সময় দুপুরে খাবারের পর থেকে রাতে খাবার আগ পর্যন্ত বেল খাওয়ার উপযুক্ত সময়। তাছাড়া দুপুরে কাজ শেষে বেলের শরবত খেয়ে নিলে শরীরে এনার্জি সঞ্চয় হয় তাই ওই সময়টিতে আপনারা বেলের শরবত পেতে পারেন। আপনারা যখন ক্লান্ত থাকবেন তখন যদি বেলের শরবত পান করেন তাহলে দেখবেন ভালো অনুভব করছেন কারণ সেই সময়ে বেলের শরবত খাওয়ার জন্য আপনার ক্লান্তি দূর হবে। তাই আপনারা শরবত ক্লান্তির সময় অথবা দুপুরে খাওয়ার পর থেকে রাতে খাবার আগে পর্যন্ত খেতে পারেন।
বেল খাওয়ার ১১টি উপকারিতা
বেল একটি পুষ্টিকর এবং উপকারী ফল। পাকা বেল যেমন উপকারী তেমনি কাঁচা বেলও সমান উপকারী।এই তপ্ত গরমে শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য বেলের শরবতের কোন জুড়ি নেই।বেল গাছের পাতা,ছাল ও ফলে আছে নানা ঔষধি গুণ। কচি বেল খাওয়া ভালো। তবে পাকা বেল খাওয়াই বেশ উপকারী। আসুন বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
ডায়রিয়া কমায়ঃ ডায়রিয়ার জন্য কাঁচা বেল অব্যর্থ ওষুধ। কেউ যদি অনেকদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগেন তাহলে কাঁচা বেল খেতে পারেন। সেজন্য কাঁচা বেলকে স্লাইস করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর শুকানো বিলগুলোকে গুড়া করে নিয়ে এই গুড়া ও ১ চামচ ব্রাউন সুগার গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। ফল পেতে হলে এই পানি দিনে দুইবার করে খেতে হবে। ১ সপ্তাহেই আপনি ফল পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
কষ্ট কাঠিন্য কমায়ঃ আপনাদের যাদের কষ্ট কাঠিন্য সমস্যা আছে তারা যদি প্রতিদিন টানা ৩ মাস বেলের শরবত খান তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। বেল মল নরম করতে সাহায্য করে। তাই পাকা বেলের শাঁস একটি পাত্রে নিয়ে তাতে চিনি ও পানি মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খান।
যক্ষা কমায়ঃ পাকা বেলে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান, যা যক্ষা কমাতে সহায়তা করে। তবে ভালো ফল পেতে হলে আপনাকে বেলের সাথে ব্রাউন সুগার ও মধু একত্রে মিশিয়ে রাতে শোবার আগে শরবত বানিয়ে খেতে হবে। এটি টানা ৪৫ দিন খান,উপকার পাবেন।
পেপটিক আলসারের ওষুধঃ পাকা বেলে যে ফাইবার রয়েছে তা আলসার উপশমে সহায়তা করে। আলসার কমানোর জন্য বেলের শরবত সপ্তাহে তিন দিন খেতে হবে। তাছাড়া বেলের পাতাকে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি খেলেও কিন্তু আলসার অনেকটা কমে যায়।
ক্যান্সার দূরে রাখেঃ বেলে অ্যাান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান রয়েছে। এই উপাদান শরীরে সহজে টিউমার হতে দেয় না। যেহেতু বেলে হাই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে তাই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
ডায়াবেটিস কমায়ঃ পাকা বেলে রয়েছে মেথানল নামের একটি উপাদান, যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। তবে ভালো ফল পেতে হলে বেলকে শরবত বানিয়ে নয় এমনি মুখেই খেতে হবে।
ম্যালেরিয়া কমায়ঃ ম্যালেরিয়া দূর করতে কাঁচা বেল কিন্তু একটি অসাধারণ উপাদান। আপনাদের ম্যালেরিয়া হলে কাঁচা বেল গুঁড়ো করে নিয়ে এক চামচ এবং তার সঙ্গে তুলসির রস ও মধু মিশিয়ে দিনে ২ বার খাবেন। ম্যালেরিয়া দূর করার জন্য কাঁচা বেল কিন্তু অসাধারণ উপকার করে।
রক্ত পরিষ্কার করেঃ আমাদের শরীরের সব অংশে পুষ্টিগণ রক্তের মাধ্যমেই পরিবাহিত হয়। তাই রক্ত পরিষ্কার থাকাটা অত্যন্ত দরকার। বেল রক্ত পরিষ্কার করতে খুব ভালো কাজে দেয়।অল্প পাকা বেল এর সঙ্গে হালকা চিনি মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেলে এটি রক্ত পরিষ্কার করে।, শুধু রক্ত নয় কিডনি ও লিভার ভালো রাখতেও কাজ করে।
লিভারের যত্নেঃ বেলে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। আর লিভার ভালো রাখার অন্যতম মূল চাবিকাঠি হল এই বিটা ক্যারোটিন।ন বেলে আরো রয়েছে থিয়ামিন এবং রাইবোফ্লেভিন, যা লিভারের শক্তি বাড়তে সাহায্য করে।
ব্লাড প্রেসার কমায়ঃ প্রতিদিন বেল খেলে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এজন্য আপনাকে সাধারন যেমন বেলের শরবত খান সেভাবে খেলেই চলবে। এই মিষ্টি শরবত কিন্তু আপনার ব্লাড প্রেসার অনেক দূরে রাখবে।
আমাশয় কমায়ঃ আপনাদের আমাশয় হলে কচি বেল স্লাইস করে কেটে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি পরের দিন ছেঁকে নিয়ে খান। দেখবেন এতে আপনি খুব ভালো ফল পাবেন।
গর্ভাবস্থায় বেল খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের শরীরের জন্য বেল একটি খুবই উপকারী ও পুষ্টিকর ফল। আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান যে গর্ভবতী মায়েদের বেল খাওয়া যাবে কিনা। চিকিৎসকদের মতে গর্ভবতী মায়েরা বেল খেতে পাবে। কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে বেল খেতে হবে। নিয়ম মেনে বিল খেলে গর্ভবতী মা ও তার গর্ভ থাকা সন্তান দুজনেই সুস্থ থাকবে। তাই আপনারা গর্ভবতী মায়েদের নিয়ম মেনে বেল খাওয়াতে পারবেন।
খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা
না না মানুষের মধ্যে নানা চিন্তা ভাবনা রয়েছে যে, সকাল বেলা খালি পেটে বেল খাওয়া যাবে কিনা। এমন কি অনেক জায়গায় প্রচলিত আছে খালি পেটে বেল খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। আসুন জেনে নেই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বেল খেলে কি হতে পারে।
আমরা যখন সকালে ঘুম থেকে উঠি তখন ঘুম ভাঙার পর আমাদের শরীরের ব্লাড সেল এবং ব্রেন সেল কে পুরোপুরি সক্রিয় করতে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক শর্করার প্রয়োজন হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা খালি পেটে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন খালি পেটে শরীরে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেলের মাত্রা বাড়তে থাকে, যার ফলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তাই সবাইকে সুস্থ থাকার জন্য সকালের নাস্তায় নিয়মিত বিল খেতে পারেন।
সকাল বেলার নাস্তা খাবার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেলে আমাদের শরীরে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান গুলো অধিক মাত্রায় গ্রহণ করতে পারে। যার ফলে শরীরের ভেতরের ঘাটতি দূর করে। প্রতিদিন সকালে ৬ঃ৩০ থেকে ১০:৩০ পর্যন্ত আমাদের শরীরের ভেতরে থাকা টক্সিক উপাদান গুলো বের করে দেয়ার কাজ করে। তাই এই সময়ের মাঝে কিছু ফল খেতে পারলে আমাদের শরীরের বিষাক্ত উপাদান গুলো বের হয়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন রকমের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
বেলের জুস তৈরির রেসিপি
বেলের জুস তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি টাকা বিল নিয়ে নিতে হবে। তারপর বেল টিকে ফাটিয়ে নিয়ে এর ভিতরের শাঁসগুলো একটি চামচ দিয়ে চেয়েছে একটি মাঝারি পাত্রে রাখতে হবে। তারপর এতে দুই কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে দিতে হবে। পানি চাইলে পরে আরো বাড়ানো যাবে তাই প্রথমেই বেশি পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারপর পানি ও বেল কে হাতের সাহায্যে প্রেস করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। অনেকে ব্লেন্ডার ব্লেন্ড করে বেলের জুস তৈরি করে। কিন্তু এতে করে বেলের বিচিগুলো পানির সঙ্গে মিশে একটু তিতা স্বাদ চলে আসে।
তাই ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড না করাই ভালো। এরপর হাত দিয়ে বেলের বিচি গুলো যতটা সম্ভব ছেঁকে নিতে হবে। তারপর এর সাথে চিনি যোগ করে নিতে হবে, চিনিটা আপনারা আপনাদের স্বাদমতো দিবেন। তারপর এক চিমটি বিট লবণ যোগ করে নিতে হবে,বিট লবণ কিন্তু জুসের টেস্ট টা আরেকটু বৃদ্ধি করে দেয়। এরপর ভালোভাবে মিক্স করে শরবতগুলো ছাকনি দিয়ে ভালোমতো থেকে নিতে হবে। এরপর ছাকা হয়ে গেলে শরবত গ্লাসে ঢেলে পান করতে পারেন।
বেল খাওয়ার অপকারিতা
সাধারণত কোন জিনিসই শরীরের জন্য অতিরিক্ত ভালো নয়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিছুই, শরীরের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। তেমনি বেল মানুষের বিভিন্ন রকম উপকার প্রদান করে থাকে, কিন্তু কিছু ক্ষতিও করে। বেল একটি মিষ্টি জাতীয় ফল, অধিকাংশ বেলি মিষ্টি হয়ে থাকে। তাছাড়া মিষ্টি বেল ছাড়া কেউ খেতে চায় না বা স্বাদ পায় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেল অতিরিক্ত খাওয়া অত্যন্ত ক্ষতিকর। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার জন্য তাদের ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।
এর কারণে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি বেল খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য উপকারের পাশাপাশি অনেকাংশে ক্ষতিও করে।আবার অতিরক্ত মিল খাওয়ার জন্য যৌন শক্তি কমে যায়। তাই যারা অতিরিক্ত বেল খায় তারা তাদের জনশক্তি অতি দ্রুত হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও যারা অতিরিক্ত বেল খান তাদের শরীরে নানা রকম রোগের সৃষ্টি হয়। তাই বলা যায় বেল খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। এজন্য বেল থেকে উপকারিতা নিতে হলে একে পরিমাণ মতো খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার উপকারিতা
একজন গর্ভবতী মেয়ের শরীরের জন্য কদবেল বেশ উপকারী একটি ফল। কদবেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,ফসফরাস,কার্বোহাইড্রেট,শর্করা,লৌহ ইত্যাদি উপাদান। এই সকল উপাদান গুলো গর্ভবতী একজন মেয়ের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেন বেল ব্যতীত অন্য কোন ফলে এত পুষ্টিগুণ একসঙ্গে পাওয়া যায় না। বেলের মধ্যে রয়েছে আশ্চর্যজনক পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণ। কদবেল সম্পর্কে লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। কদবেল মানুষের শরীরে ওষুধের মত কাজ করে। গর্ভাবস্থায় মেয়েদের শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে যায় শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। কদবেল দ্বারা এই সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। কারণ মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বেলে যেসব পুষ্টিগুণ রয়েছে
বেল অনেক পুষ্টিকারী এবং উপকারী একটি ফল। একটি ২০০ গ্রাম বেলে রয়েছ ৩.২ গ্রাম প্রোটিন, ৫৬.১১ থেকে ৫৯.৮ গ্রাম শর্করা,০.৪ থেকে ০.৭৮ গ্রাম স্নেহ পদার্থ, ১১০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন,০.২৬ মিলিগ্রাম থায়ামিন,২.৩৮ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেবিন,১৬ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম এসকরবিক অ্যাসিড,২.২ মিলিগ্রাম নিয়াসিন,৪.২২ মিলিগ্রাম টারটারিক এসিড এবং ১০৮.৯৬ থেকে ১১৫.৫ গ্রাম পানি রয়েছে। তাহলে বুঝতে পারছেন বেল আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কত দিক থেকে উপকারী।
বেল খেলে কি ওজন কমে
বেল ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে না জানা অনেক মানুষ রয়েছে। এই বেল ফল কাঠের আপেল নামেও পরিচিত। এই বেল ফলটি গ্রীষ্মকালীন উপাধি এবং গোলাকার আকারে সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। এই বেল ফলের কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো অংশ হলো নিখুঁত ওজন কমানোর জন্য পানীয় তৈরি করে থাকে।
বেলের জুস কি ত্বকের জন্য ভালো
বেলের রসে রয়েছে ট্যানিন এবং ফেনোলের মতো যৌগ রয়েছে। যার কারণে বেলে প্রাকৃতিক অ্যাান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ক্ষতিকারক বা বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক এর বৃদ্ধিকে বাধা প্রদান করে। ভারতের বেলের রসের ব্যবহার ভালো হজম ও উন্নত ত্বক এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে।
লেখক এর শেষ কথা
মানবদেহের জন্য বেল একটি অনেক উপকারী ফল। এই বেলের নানা ঔষধি গুণ রয়েছে।কিন্তু সেই জন্য আপনাকে বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে বেল খাওয়ার উপকারিতা এবং বেল খাওয়ার সঠিক সময়সহ বেল সম্পর্কে যাবতীয় আলোচনা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আপনারা বেল খাওয়ার উপকারিতা এবং বেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সহ যাবতীয় সঠিক তথ্য বুঝতে পেরেছেন।আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url