অ্যালোভেরা জেলের ১১টি উপকারিতা

অ্যালোভেরা গাছের পাতার মধ্যে যে জেল থাকে তা পুরোটাই পানির মতো। এই জেলে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা অনেক। রূপচর্চায় অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার এবং চুল বৃদ্ধি করতে,চুল সিল্কি করতে, ত্বকের দাগ দূর করতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা যাই। এছাড়াও এই অ্যালোভেরা জেলের জুসের ও অনেক কদর রয়েছে। আসুন জেনে নেই অ্যালোভেরা জেলের কিছু ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে।
অ্যালোভেরা জেলের ১১টি উপকারিতা
আজকের এই আর্টিকেলে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা, এবং অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে নিচের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অ্যালোভেরা জেলের ১১টি উপকারিতা

অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। যা ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য অনন্য। অ্যালোভেরা জেলকে আপনি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • অ্যালোভেরা জেল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী।
  • অ্যালোভেরা জেলের মাধ্যমে ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করা সম্ভব।
  • ত্বক থেকে মেকাপ উঠানোর কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এটি স্কিনের কোন ক্ষতি হয় না।
  • লাল হয়ে যাওয়া এবং ত্বকের উপর এলার্জির প্রভাব কমাতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক এলার্জির প্রভাব দূর হয় এবং ত্বক ঠান্ডা থাকে।
  • অ্যালোভেরা জেল ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য করে।
  • অ্যালোভেরা জেলের জুস পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • শীতকালে মানুষের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। এই ফেটে যাওয়া পায়ের গোড়ালির যত্নে অ্যালোভেরা জেল কার্যকর।
  • চুল লম্বা ও সিল্কি করতে অ্যালোভেরা জেল বেশ উপযোগী। এই জেল এ ব্যবহার করলে চুল লম্বা ও সিল্কি হয়।
  • ছেলেদের দাড়ি সেভ করতে সেভিংস জেলের পরিবর্তে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যায়
  • শরীরের কোন স্থানে পোকা কামড়ালে সেই স্থানের জ্বালা দূর করতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে জ্বালাময় স্থান ঠান্ডা হবে।

রূপচর্চায় অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার

রুপচর্চায় অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা অনেক। অ্যালোভেরা জেল শুষ্ক ত্বকের যত্নের জন্য কসমেটিক্সে থাকে কারণ এটি স্কিনকে বা ত্বককে সজীব করে থাকে আপনি যা বাসাতেও করতে পারেন।

মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে চামড়ার ভাঁজ পড়ে যাই যা আপনি চাইলেও তে পারবেন না। কিন্তু এই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে আপনি চামড়ার ভাই পড়া রোধ করতে পারবেন কারণে তে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এই জেল ত্বকের দেশ গভীরে যেয়ে ভিটামিন এ, বি, সি এর অভাব পূরণ করে। ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে ও রোদে পোড়া দাগ দূর করতে রূপচর্চায় অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার জেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ত্বকের মৃত চামড়া সতেজ রাখতা রূপচর্চায় অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মাস্ক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন। এই মাছ তৈরি করার জন্য আপনাকে ব্লেন্ড করা এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেল নিতে হবে। তারপর ওটমিলের গুড়া ১ চা চামচ এবং অলিভ অয়েল ১/২ চামচ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মাস্কটি মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস সপ্তাহে একবার ব্যবহার জকর। রূপচর্চায় অ্যালোভেরা জেলের উপকার অনেক।
রূপচর্চায় অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার
অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা একনে দূর করতে এবং নতুন কোষ জন্মাতে বেশ কার্যকর। অ্যালোভেরা জেল দিয়ে আইসকিউব তৈরি করে এই কিউব ত্বকে ২ থেকে ৩ বার একনেতে ভালমতো ঘষলে এই সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।

ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও অ্যালোভেরা জেল অনেক উপকারী। অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকের পিএইচ মান ঠিক রাখতে এবং খুশকি দূর করতে বেশ কাজ করে। ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ক্যাস্টর অয়েল ১ চামচ ভালোভাবে মিশিয়ে রাতে মাথায় দিয়ে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর সকালে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধরে নিতে হবে। এতে চুল খুশকি মুক্ত থাকবে।

অ্যালোভেরার উল্লেখযোগ্য উপাদান হল এর অ্যান্টিসেপটিক গুনাগুন। শরীরের কোথাও অল্প কেটে গেলে বা ক্ষত হলে অ্যালোভেরা জেল লাগান। দিনে ২ থেকে ৩ বার মত ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষত আরাম হবে।

অনেক অল্প দামে বাজারে অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায়। আপনার রূপচর্চায় এই অ্যালোভেরা জেল টি আপনাকে সুন্দর, উজ্জীবিত ও সতেজ রাখতে সহায়তা করবে।

অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

অ্যালোভেরা প্রাচীন কাল থেকেই ঔষধি হিসেবে পরিচিত। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ , এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামোনিয়া এসিডের মত উপাদান থাকার কারণে ত্বকের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে

মধু ও অ্যালোভেরা জেলঃ তেলতেলে ভাব ও তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করতে অ্যালোভেরা জেল বেশ উপকারী। ভিটামিন ই, অ্যালোভেরা জেল এবং ১ চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তারপর সেই প্যাক ত্বকে ব্যবহার করুন।

গোলাপ ও অ্যালোভেরার টোনারঃ ত্বকের শুষ্কতা কমানোর জন্য অ্যালোভেরা ও গোলাপের টোনার ব্যবহার করা হয়। অ্যালোভেরা জেল ও গোলাপের জল একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন গোসলের পর ব্যবহার করুন এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে ইনশাল্লাহ।

প্রদাহ নাশক ফেসপ্যাকঃ অ্যালোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহের সমস্যা কিংবা একজিমা দূর করতে ব্যবহার করা উপযোগী। অ্যালোভেরা ফেসওয়াস ব্যবহার করলে ত্বক শীতল ও এলার্জি মুক্ত থাকে

লেবুর সঙ্গেঃ অ্যালোভেরা ও লেবু উভয়ই অনেক শক্তিশালী। এদের মধ্যে অ্যান্টি- এইনজিইং উপাদান বিদ্যমান। যা ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বককে আর্দ্র ও দাগ ছোপ কমাতে সাহায্য করবে। ১ চামচ এলোভেরা, অংশ একটি ডিমের শুধু সাদা অংশ এবং ১/২ চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেই প্যাক তকে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হবে।

হলুদের সঙ্গেঃ ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল,১ চামচ মধু, হলুদের গুড়া ১ চিমটি, এবং গোলাপজল কয়েক ফোঁটা নিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। এবার প্যাকটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে নিতে হবে। ফলে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মোলায়েম।

টক দই মিশিয়েঃ অ্যালোভেরা জেল ২ চামচ ও টক দই ১ চামচ একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। টক যদি শুষ্ক হয় তাহলে এই প্যাকের সাথে ১ এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। আর যদি টক তেল তেলে হয় তবে মধুর বদলে লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন। তারপর প্যাকটি ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে এবং কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল এর ম্যাজিকঃ অ্যালোভেরা জেল পরিমাণ মতো এবং তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকেলের তেল একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে তোকে লাগান। কিছুক্ষণ রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ফেলুন। এতে তক হবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।

চুলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের উপকারিতা

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী এই উপাদানটি প্রাচীনকাল থেকেই নানা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা অনেক। বিশেষ করে ত্বক ও চুলের যত্নে এই উপাদানটি বেশ কার্যকরী। তবে ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে না জেনে ব্যবহার করলে এর শতভাগ গুনাগুন পাওয়া যাবে না।অ্যালোভেরা জেলের পুষ্টিগুণ চুলের গভীর থেকে যত্ন নিতে পারে।

এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই চুলে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং চুল ঘন ঝলমলে করে। অ্যালোভেরা জেল এ অ্যাান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা রয়েছে যার কারণে চুলের যে কোন সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে। তাই চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর কন্ডিশনারের পরিবর্তে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।

চুলে অ্যালোভেরা যেভাবে ব্যবহার করবেন

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার আগে চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। তারপর অ্যালোভেরা জেল ও নারকেল তেল একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর মিশ্রণটি মাথার স্কিনে লাগিয়ে নিন। তারপর ভালোভাবে মাথার তালুতে মাসাজ করুন। এমনভাবে মিশ্রণটি লাগাতে হবে যাতে গোঁড়া থেকে একা পর্যন্ত মিশ্রণটি ভালোমতো লাগে।

তারপর প্রায় ১৫ মিনিট মতো রাখতে হবে। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল মুছে গিয়ে নিতে হবে। তারপর দেখবেন আপনার চুল আগের চেয়ে স্বাস্থ্যজ্জল ও সিল্কি হয়ে গেছে। চুলে ব্যবহার এর ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা বেশ কার্যকর।

অ্যালোভেরা জেলের জুসের উপকারিতা

দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরা উপকারিতা অনেক। অ্যালোভেরা রয়েছে সোডিয়াম,ক্যালসিয়াম, অ্যামোনিয়, আয়রন, পটাশিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, এমিনো এসিড ও বি৬ ও বি২ ইত্যাদি যা বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর কাজে লাগে। এই অ্যালোভেরা দিয়ে জুস তৈরি করেও খাওয়া যায় এবং এই জুসের ও অনেক উপকারিতা রয়েছে। আসন সেই উপকার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।
  • অ্যালোভেরা অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিস মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।
  • অ্যালোভেরা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যেমন মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড ইত্যাদি। যা শরীরের মাংসপেশি ও হাড় কে মজবুত ও শক্তিশালী করে।
  • দেহের ভেতরে ক্ষতিকর কোন পদার্থ প্রবেশ করলে তা বের করতে সাহায্য করে এই অ্যালোভেরা।
  • প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে এই অ্যালোভেরা। এটি নানা ধরনের চর্মরোগ ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। প্রাথমিক চিকিৎসায় অ্যালোভেরা অনেক সময় ব্যবহার করা হয়। শরীরের ক্লান্তি দূর এবং দেহকে সতেজ করতে এলোভেরার জুস বেশ কার্যকর।
  • পেটের নানা ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। প্রতিদিন অ্যালোভেরা জুস পান করলে হজম শক্তি বাড়ে।
  • অ্যালোভেরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই অ্যালোভেরা শরীরের সাদা ব্লাড সেল তৈরি করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
  • নরমাল খাদ্যের পাশাপাশি প্রতিদিন অ্যালোভেরা জুস পান করলে কষ্ট কাঠিন্য দূর হয়।
অ্যালোভেরা জুস ওজন কমাতে অনেক কার্যকরী। মানুষের শরীরের জমে থাকা মেদ অ্যালোভেরা জুসের এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান তা কমাতে সাহায্য করে এবং এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমে।

অ্যালোভেরা জুস তৈরির নিয়ম

সকালে আমরা কি খাচ্ছি এ বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সারারাত পেট খালি থাকে এজন্য সকালে শুরুতেই এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখে।অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা অনেক এবং সঙ্গে সঙ্গে অ্যালোভেরা জুস এর ও অনেক উপকারিতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি সকালে উঠে প্রথমে অ্যালোভেরা জুস খেতে পারেন।

অ্যালোভেরার পুষ্টিগণের কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই। অ্যালোভেরায় প্রচুর ভিটামিন,মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যালোভেরা জেল বের করা ও জুস তৈরি করার একটা বিশেষ কায়দা আছে। চলুন জুস তৈরি সঠিক প্রসেসটি দেখিয়ে দেয়।
অ্যালোভেরা জুস তৈরির নিয়ম
  • প্রথমে একটা পাত্রে কিছু তোকমা দানা ভিজিয়ে নিতে হবে। একটা পাত্রে এক চা চামচ তোকমা দানা নিতে হবে। এখন পাত্রে সামান্য পানি দিতে হবে এবং একটু নেড়ে পানির সাথে তোকমা দানাগুলো মিশিয়ে নিতে হবে। এভাবে ৫ মিনিট দানা গুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • এরপর একটা অ্যালোভেরার ডগা নিতে হবে। এটা আমাদের দেশে সব এলাকায় এভেলেবেল পাওয়া যায়।
  • অ্যালভেরা জেল বের করার জন্য প্রথমে অ্যালভেরার ডগার দুই পাশের অংশ ছুরি দিয়ে হালকা করে কেটে নিতে হবে।
  • তারপর অ্যালভেরার ডগার অপরের চামড়াটি ছুরির সাহায্যে উঠিয়ে নিতে হবে। এর চামড়াটির নিচেই অ্যালভেরা জেল আছে।
  • এরপর একটা কাটা চামচ এর সাহায্যে জেল গুলো কেটে নিতে হবে। এতে জেল টা গলে পেস্ট এর মত হয়ে আসবে।
  • একটা গ্লাস এ এই জেল গুলো নিয়ে নিতে হবে। এটা খেলে যেমন উপকার ত্বকে মাখলেও উপকার।
  • জেল গ্লাস এ নেওয়া হয়ে গেলে এখন একটা চামচের সাহায্যে জেলটা ভালোভাবে নেড়ে গলিয়ে নিতে হবে। অন্তত চার থেকে পাঁচ মিনিট চামচ দিয়ে জেলগুলো ভালোভাবে নেড়ে নিতে হবে।
  • এরপর অ্যালোভেরা জেলের গ্লাসে ভিজিয়ে রাখা তোকমা দানা গুলো ঢেলে দিতে হবে। এতে একটুখানি লেবু চেপে দিয়ে দিতে হবে কারণ লেবু এতে একটি রিফ্রেশিং ফ্লেভার যোগ করবে।
  • তারপর এতে সামান্য পরিমাণ পিং সল্ট যোগ করে নিতে হবে। পিং সল্ট না থাকলে আয়োডিনযুক্ত যে কোন লবণ দিবেন।
  • এরপর গ্লাস কে পানি দিয়ে পূর্ণ করে দিতে হবে। আমি এতে চিনি ব্যবহার করছি না কারণ চিনি ক্ষতিকারক তবে আপনারা চাইলে মধু দিতে পারেন। এবার এটা ভালো করে চামচ দিয়ে নেটে নিলে জুস তৈরি হয়ে যাবে। এবার এটা আপনারা পান করতে পারবেন। এটা হয়তো খেতে অনেক সুস্বাদু হবে না কিন্তু অনেক স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী।

রাতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের উপকারিতা

ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অ্যালোভেরা জেল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক প্রতিকার। রাতে জেল ব্যবহার করলে কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন

অ্যান্টি-এজিংঃ অ্যালোভেরা জেলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। যা বলির চেহারা ও সুক্ষরেখা কমাতে সাহায্য করে থাকে।

ময়েশ্চারাইজিংঃ অ্যালোভেরা জেলে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং জল সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। যা শুষ্ক ত্বককে প্রশমিত এবং হাইড্রেট করতে সাহায্য করে থাকে।

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরিঃ অ্যালোভেরা জেল এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। যা ত্বকের ব্রণ, ফোলা ভাব, জ্বালাপোড়া এবং অন্যান্য সমস্যা দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

কালো দাগ দূর করাঃ ত্বকের কালো দাগ দূর করতে অ্যালোভেরা জেল উপকারি এবং ত্বকের টোন উন্নত করতে অ্যালোভেরা জেল সহায়তা করে। রাতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে আপনাদের ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চেহারায় উজ্জ্বলতা এবং উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে।

লেখক এর মন্তব্য

দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা এবং রূপচর্চায় অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার অনেক উপকারি। এই অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা মানুষের স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আপনারা দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। আজকের এই আর্টিকেলে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেল থেকে এলোভেরা জেলের সঠিক ব্যবহার এবং উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url