গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধা

গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ সেবা প্রদানকারী একটি বিশ্বত প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধা সেবাসহ আরও কিছু সেবা রয়েছে। আপনি হইতো গ্রামীণ ব্যাংক এর সুবিধা সম্পর্কে অনেক জায়গায় সার্চ করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি। সমস্যা নেই আজকের আর্টিকেল এ গ্রামীণ ব্যাংক এর সুবিধা ও গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ সুবিধা
আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান ও গ্রামীণ ব্যাংক থেকে যেকোনো সুবিধা বা ঋণ নিতে চান এবং ঋণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে নিচের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান কে

গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৮৩ সালে অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে দারিদ্র বিমোজনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখাই তিনি নোবেল পুরস্কার ও পান। পরে ১৯১১ সালে ডক্টর ইউনুস কে বয়স সীমা অতিক্রম কে কেন্দ্র করে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থা পরিচালক এর পর থেকে অপসারণ করা হয়। পরবর্তীতে ডঃ ইউনুস এর পরিবর্তে চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়েছে একেএম সাইফুল মসজিদ কে।

গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যাবলী

  • গ্রামের লোকজনদের মাঝে ব্যাংকে যাওয়া বা ব্যাংকিং সেবা নেওয়ার মধ্যে এক ধরনের অবহেলা লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে তাদের আর্থিক অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধা চালু করেছে। গ্রামীণ ব্যাংক মানুষের দরজায় দরজায় যেয়ে তাদের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে সাহায্য করে থাকেন।
  • প্রতিবছর বন্যা ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস নদী ভাঙ্গন ইত্যাদি নদীর পাড়ের মানুষজনের প্রধান সমস্যা বা শত্রু। প্রতিবছরই এই গরিব মানুষদের তাদের কষ্টের টাকা দিয়ে তৈরি বাড়িঘর ভেঙ্গে যায় ঘরবাড়ি ভেসে যায় এবং তারা তাদের পরিবার করে। এসব সমস্যা থেকে গরিব মানুষকে বাঁচানোর জন্য গ্রামীণ ব্যাংক ১৩০০০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ঘর বানাতে স্বল্প সুদে লোন দিয়ে সাহায্য করে। এই সুদের হার সাধারণত 8% যা পাঁচ বছর মেয়াদে পরিশোধ করতে হয়।
  • গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামের দারিদ্র শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য শিশুদের বিনামূল্যে স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।শুধুমাত্র কূল জীবনের পড়াশোনা করার পর যেন কোন ছাত্র বা ছাত্রী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে সেজন্য গ্রামীণ ব্যাংক উচ্চশিক্ষা লোন প্রদান করে থাকে।
  • গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামের মানুষদের উদ্যোক্তা হতে গড়ে ৩৪৫৬৩ টাকা লোন দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশের দারিদ্রতার হার বেশি যার কারণে মানুষ কোন উদ্যোগ গ্রহণ বা শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা কৃষি কাজ ভালোভাবে করতে পারে না। গ্রামীণ ব্যাংক কি একমাত্র ব্যাংক যে ব্যাংক কৃষক ও দরিদ্রদের জন্য বিশেষ কাজ করে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধা রয়েছে। যার মধ্যে কিছু ঋণ গ্রামীণ ব্যাংক কোন প্রকার ডকুমেন্ট ছাড়াই প্রদান করে থাকে। যেমন কৃষি ঋণ, শিক্ষা ঋণ, পশু সম্পদ ঋণ, উদ্যোক্তা ঋণ,ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে থাকে।

এসব ঋণ গ্রহণ করে অনেক মানুষ বেকার মুক্ত হয়েছে এবং দেশের দারিদ্রতা কমিয়ে এনেছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক দেশের দারিদ্রতার পরিমাণ কমিয়ে আনছে এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেলে দেশের অর্থনীতিতেও উন্নতি ঘটবে। তাই বলা যায় বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋণ প্রধানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধা

  • কৃষি সম্পদ ঋণ।
  • ক্ষুদ্র ঋণ।
  • উচ্চ শিক্ষ ঋণ।
  • গৃহনির্মাণ ঋণ।
  • উদ্যোক্তা ঋণ ।
  • পশু সম্পদ ঋণ।
কৃষি সম্পদ ঋণ ঃ গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধার মধ্যে কৃষি সম্পদ ঋণ অন্নতম। কৃষকদের কাজ চালিয়ে নিতে ও কৃষক সমাজকে উন্নত করতে গ্রামীণ ব্যাংক কোন ধরনের ডকুমেন্ট বা জামানত ছাড়াই ঋণ প্রদান করে থাকে। একেক জন কৃষক এক এক কাজে দিন গ্রহণ করতে পারে। যেমনঃ-
  • জমি ক্রয়
  • কৃষি কাজের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়
  • ফসলের জন্য বীজ সার ও কীটনাশক ক্রয়
  • মৎস্য চাষ ও পশুপালন
কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কৃষি ঋণের সুদের হার খুবই কম। এই ঋণে সুদের হার ৬ পার্সেন্ট এবং এটি পরিশোধের সর্বোচ্চ সময়সীমা দশ বছর। এই ঋণ জন্য কৃষকদের নিজস্ব জমি ও কৃষি কাজে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

ক্ষুদ্র ঋণঃ গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণের জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। খুব সহজেই এই ঋণ দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের যে কোন মানুষ এই ঋণ গ্রহণ করতে পারে। তবে এখানে কিছু শর্ত রয়েছে । গ্রাহককে কমপক্ষে ৫ জন সদস্য নিয়ে একটি দল গঠন করতে হয়। এখানে কেউ বেকার বা ভূমিহীন হলেও তাকে ঋণ দেওয়া হয় জামিনদারের ভরসায়।

তারপর ব্যাংক কর্তৃক নিয়োজিত একজন এজেন্ট প্রতি সপ্তাহে এসে তাদের কাছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে যায়।গ্রামীণ ব্যাংক এই ঋণ 5000 টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে এবং সামান্য কিছু কাগজপত্র জমার মাধ্যমে এই ঋণ সহজেই পাওয়া যায়।

উচ্চ শিক্ষা ঋণ ঃ কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষার জন্য কোন অর্থ প্রয়োজন হলে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ঋণের সুবিধা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে যে সকল শিক্ষার্থীদের গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ দিয়ে থাকে সেগুলো হল-
  • বিভিন্ন মেডিকেল স্টুডেন্ট।
  • বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার স্টুডেন্ট।
  • বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট।
  • MA /MS/MBA এর স্টুডেন্ট ইত্যাদি।
যে শিক্ষার্থী গ্রামীণ ব্যাংক হতে শিক্ষা লোন গ্রহণ করতে চাই তাকে অবশ্যই কমপক্ষে এক বছর গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হতে হবে এবং ওই শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ২০ থেকে ২৫। এই ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় তেমন কোন ডকুমেন্ট জমাদানের প্রয়োজন হয় না।
গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ পদ্ধতি
গৃহ নির্মাণ ঋণ ঃ গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধার মধ্যে গৃহ নির্মান ঋণ একটি। মানুষের মৌলিক সম্পদের ভিতর একটি অন্যতম সম্পদ হলো মানুষের বাসস্থান। মানুষের বাড়ি যেমনই হোক না কেন মানুষের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হলো তার বাড়ি। কিন্তু গ্রামের অসহায় মানুষদের পক্ষে বাড়ি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই তাদের সাহায্যের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক টিনের ঘর তৈরির জন্য সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে থাকে। এই ঋণ পরিশোধের সিস্টেম সাপ্তাহিক এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সময়ে এই ঋণ পরিশোধ করা যায়।

উদ্যোক্তা ঋণ ঃ কোন কে ব্যবসায়ী উদ্যোগ গ্রহণে বা ব্যবসা বড় করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক উদ্যোক্তাকে ঋণ দিয়ে থাকেন। উদ্যোক্তারা অনেকগুলো কাজে ঋণ নেয় যেমন:-
  • পণ্য ক্রয়।
  • অফিস বা দোকান ভাড়া।
  • বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়।
  • কর্মচারী নিয়োগ।
  • বিজ্ঞাপন প্রচার।
  • অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ।
উদ্যোক্তা ঋণ এ সুদের হার ৬% এবং এর মেয়াদ থাকবে ২ বছর । এই ঋণের জন্য স্বাভাবিক কিছু কাগজপত্র ছাড়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হয়। সেসব কাগজগুলো জমা দিলে উদ্যোক্তা ঋণ দ্রুত পাওয়া যায়।

পশু সম্পদ ঋণ ঃ গ্রামের দরিদ্র মানুষদের জন্য পশু সম্পদ ক্রয় জন্য গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ দিয়ে থাকে। এই ঋণ নিয়ে আপনি যেসব পশু লালন পালন করতে পারবেন সেগুলো হল:
  • গরু
  • ছাগল
  • মহিষ
  • হাঁস
  • মাছ
  • ভেড়া
যে ব্যক্তি এই ঋণ নিতে ইচ্ছুক তাকে অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং পশুপাখি লালন পালনের জন্য উপযুক্ত স্থান থাকতে হবে।

গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ পদ্ধতি

অত্যন্ত সহজ পদ্ধতিতে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া যায়। গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধা রয়েছে।সেজন্য আপনাকে ব্যাংকে যেতে হবে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন এ গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে। ঋণ গ্রহণেরজন্য আপনাকে অবশ্যই গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হতে হবে এবং ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তাদের জানাতে হবে যে আপনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চান। তারা আপনাকে ঋণ এর জন্য একটি আবেদন ফরম দিবেন আপনাকে সেটা পূরণ করতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ পদ্ধতি
গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন বিষয়ে ঋণ দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ঋণের জন্য আলাদা আলাদা ফরম রয়েছে। আপনি যেইদিন নিতে চান সেই ফর্ম পূরণ করে তার সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে তার সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপতি প্রদান করলে ডকুমেন্ট জমা হতে 12 থেকে 24 ঘন্টার মধ্যে আপনার লোন Aprove হয়ে যাবে।

গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা

গ্রাহকদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । গ্রামীণ ব্যাংকের এই সুযোগ সুবিধা গুলো গ্রাহকদের সুরক্ষিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক কাজে সাহায্য করে থাকে ।গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধা গুলো হলো কিস্তি সুবিধা, ঋণ সুবিধা, ওভার ড্রাফট সুবিধা,ইত্যাদি। এসব সুবিধা গুলো গ্রামের দারিদ্র মানুষের জীবনকে সহজ ও উন্নত মানের করে তুলে।

গ্রাহকদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই সুবিধা দিয়ে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য পেতে পারেন। গ্রামীন ব্যাংক মুদ্রার বাজার মূল্যে ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে এই সুবিধা গুলো গ্রামীণ এলাকার দারিদ্র মানুষদের জীবনকে সুন্দর ও উন্নত করে তোলে।

গ্রামীণ ব্যাংকের কিস্তি সুবিধা

গ্রামটির জন্য গ্রামীণ ব্যাংক কিস্তি সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই সুবিধা দিয়ে গ্রাহকরা তাদের মূল্যায়ন বাজার মূল্যে কিস্তি প্রদান করেন। এটি ব্যাংক সদস্যদের ব্যাংকিং সহজ ও নিরাপদ করে এবং প্রয়োজনে অর্থ প্রদানে সাহায্য করে।

গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি

গ্রামীন ব্যাংক পরিচালিত হয় ঋণ গ্রাহক ও সরকার যৌথ ভাবে। এর ৭৬% এর মালিক ঋণ গ্রাহক এবং ২৪% এর মালিক সরকার।

গ্রামীণ ব্যাংক কি এনজিও

না গ্রামীণ ব্যাংক এনজিও নয় । এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী একটি সামাজিক উন্নয়ন ব্যাংক যার ৭৬% ঋণ গ্রহিতা ও ২৪% সরকার এই ব্যাংকের মালিক।

গ্রামীণ সদস্য সংখ্যা কতজন

গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান উপস্থিতি বাংলাদেশের ৯৪% গ্রামে। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা সদস্যের সংখ্যা ১০.৫৪ মিলিয়ন। বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক প্রায় পরিবারের সদস্য সহ ৪৫ মিলিয়ন মানুষকে সেবা প্রদান করে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

গ্রামীণ ব্যাংকের ৬টি ঋণ সুবিধা ও গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ পদ্ধতি এবং সকল যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। গ্রামীন ব্যাংক ঋণ সেবা প্রদানকারী একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। আশাকরি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সঠিক তথ্য বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url